ভ্যাকসিন দিতে যাওয়ার পূর্বে অবশ্যই নিচের পিডিএফ-এর ২টি প্রিন্টেড কপি (বা ফটোকপি) এবং জন্ম নিবন্ধন সনদের ১টি ফটোকপি নিয়ে যেতে হবে। নিচের পিডিএফ-এর ফটোকপি স্কুল থেকেও সংগ্রহ করা যাবে।
স্কুলের নাম হিসেবে “মিশন স্কুল“-এর নাম উল্লেখ করতে হবে।
এস.সি.ডি মোহাম্মদপুর শাখার সকল অভিভাবকদের জানানো যাচ্ছে যে, ১ম-৪র্থ, ৬ষ্ঠ, ৭ম ও ৯ম শ্রেণির বার্ষিক পরীক্ষা ২০২১ বিষয়ে নিম্নলিখিত সিদ্ধান্তসমূহ গৃহীত হয়েছে:
১) ১ম – ৪র্থ শ্রেণির সকল পরীক্ষা বাসায় অনুষ্ঠিত হবে। অর্ধ-বার্ষিক পরীক্ষার মত সকল শিক্ষার্থী পরীক্ষার রুটিন অনুযায়ী বাসায় পরীক্ষা দিবেন এবং অভিভাবকগণ সপ্তাহ শেষে স্কুলে পরীক্ষার খাতা জমা দিবেন। ২) ৫ম শ্রেণির পরীক্ষার বিষয়ে এখন পর্যন্ত সুনির্দিষ্ট কোনো সরকারি সিদ্ধান্ত না থাকায় এ বিষয়ে সিদ্ধান্ত পরবর্তীতে জানানো হবে। পরবর্তী নির্দেশনা পাওয়ার পূর্ব পর্যন্ত ৫ম শ্রেণির ক্লাস যথারীতি চলবে। ৩) ৬ষ্ঠ, ৭ম ও ৯ম শ্রেণির শুধুমাত্র বাংলা, ইংরেজি ও গণিত বিষয়ের পরীক্ষা রুটিন অনুযায়ী স্কুলে অনুষ্ঠিত হবে। বাকি বিষয়সমূহের পরীক্ষা অভিভাবকগণ অর্ধ-বার্ষিক পরীক্ষার মত নির্ধারিত রুটিন অনুযায়ী বাসায় নিবেন এবং সপ্তাহ শেষে স্কুলে পরীক্ষার খাতা জমা দিবেন। ৪) ৮ম শ্রেণির পরীক্ষা নির্ধারিত রুটিন এবং সরকারি দিকনির্দেশনা অনুযায়ী মিশন স্কুলে অনুষ্ঠিত হবে। ৫)। বাসায় পরীক্ষা দেওয়া সম্পর্কিত নীতিমালা শীঘ্রই সবার সাথে শেয়ার করা হবে, ইন-শা-আল্লাহ্।
বিশেষ দ্রষ্টব্য:
১ম-৪র্থ শ্রেণির কোনো পরীক্ষাই পরবর্তী শ্রেণিতে উন্নীত হওয়ার জন্য সরকার কর্তৃক বাধ্যতামূলক করা হয় নাই।
৬ষ্ঠ, ৭ম ও ৯ম শ্রেণির শিক্ষার্থীদের বাংলা, ইংরেজি ও গণিত ব্যতীত বাকি বিষয়সমূহের পরীক্ষায় অংশগ্রহণ বাধ্যতামূলক নয়।
প্রতিটি পরীক্ষার প্রশ্ন পরীক্ষার দিন সকাল ৮.৩০ টায় স্কুলের ওয়েবসাইটে প্রকাশ করা হবে (৬ষ্ঠ, ৭ম, ও ৯ম শ্রেণির বাংলা, ইংরেজি ও গণিত ব্যতীত)।
বাংলাদেশ সরকারের শিক্ষা মন্ত্রণালয় জাতীয়তা সনদের মতো প্রত্যেক শিক্ষার্থীকে একটি ডিজিটাল কার্ড (প্লাস্টিকের এটি এম/ স্মার্ট কার্ডের মতো ) দেওয়ার সিদ্ধান্ত নিয়েছেন । ষষ্ঠ শ্রেণি থেকে দ্বাদশ শ্রেণির সকল ছাত্র-ছাত্রী পাবে এই ইউনিক আইডি। এই আইডিতে নির্দিষ্ট সংখ্যক ডিজিটের শিক্ষার্থী শনাক্ত নম্বর থাকবে। ২০২২ সাল থেকে শিক্ষার্থী শনাক্ত করার ইউনিক আইডি কার্ড দেওয়া শুরু হবে।
ইউনিক আই.ডি’র জন্য নির্ধারিত ৪ পৃষ্ঠার একটি ফরম পূরণ করতে হবে, যা স্কুল থেকে সংগ্রহ করা যাবে। এছাড়া, ফরমটি পূরণ করার জন্য যাবতীয় নির্দেশনা নিচের ভিডিওটিতে বিশদভাবে উল্লেখ করা হয়েছে।
প্রয়োজনীয় কাগজপত্রঃ
শিক্ষার্থীদের ইউনিক আইডি প্রদানের জন্য প্রোফাইল ও ডাটাবেজ করতে নিম্নের ডকুমেন্ট প্রয়োজন হবে:
১. দুই কপি রঙ্গিন পাসপোর্ট সাইজ-এর ছবি জমা দিতে হবে। সাদা ব্যাকগ্রাউন্ড-এ ছবি তুলতে হবে।
৩. পিতা-মাতার এন.আইডি কার্ড অথবা জন্ম সনদ-এর ফটোকপি জমা দিতে হবে।
৪. শিক্ষার্থীর রক্তের গ্রুপ লিখতে হবে ।
৫. পিতা/মাতা মৃত হলে অভিভাবকের NID লাগবে।
⛔ রক্তের গ্রুপ প্রমাণের জন্য মেডিকেল বা প্যাথলজি সার্টিফিকেট লাগবে (যদি না থেকে তবে প্রয়োজন নেই), তবে ফরমে উল্লেখিত সকল তথ্য প্রদান করাই উত্তম।
⛔ যাদের হাতে লেখা জন্ম নিবন্ধন সনদ আছে বা ডিজিটাল (অনলাইন ভেরিফাইড) করা নেই, সেসব জন্ম নিবন্ধন গ্রহণযোগ্য হবে না। তাই স্টুডেন্ট ইউনিক আই.ডি.’র জন্য অবশ্যই ডিজিটাল জন্মসনদ লাগবে। অর্থাৎ, অনলাইনে সার্চ দিলে পাওয়া যায় এমন জন্মনিবন্ধন সনদ থাকতে হবে। লক্ষণীয় যে, অনলাইন জন্ম নিবন্ধন ১৭ ডিজিটের হয়, অনেকেরই জন্ম নিবন্ধন ১৭ ডিজিটের আছে ঠিকই, কিন্তু অনলাইনে নিবন্ধন করা নেই। তাই এক্ষেত্রে ডিজিটাল জন্ম নিবন্ধন আবশ্যক।
আগামী ১১ নভেম্বর ২০২১-এর মধ্যে পূরণকৃত ফরম এবং প্রয়োজনীয় কাগজপত্র এস.সি.ডি’র স্কুল অফিসে জমা দিবেন, ইন-শা-আল্লাহ।