আসসালামুআলাইকুম,
স্কুলের প্রথম দিন শিক্ষার্থীদের ব্যাগে সব বই-খাতা দিয়ে দিতে হবে। হোমওয়ার্ক-এর খাতা ব্যাতীত সব বই প্রথম দিনই স্কুলে রেখে দেওয়া হবে এবং পরবর্তীতে শিক্ষার্থীদের বইতে ‘ক্লাসওয়ার্ক’ করানো হবে।
নার্সারির শিক্ষার্থীদের বাড়ির কাজ ‘হোম ওয়ার্ক’ খাতায় উস্তাজারা লিখে দিবেন। আলাদা ডায়েরিতে কোনো বাড়ির কাজ দেওয়া হবে না। অভিভাবকগণ প্রতিদিন হোমওয়ার্কের খাতা চেক করবেন এবং নির্দেশনা অনুযায়ী বাড়ির কাজগুলো বাসায় করাবেন। উক্ত হোমওয়ার্ক খাতায় উস্তাজ/উস্তাজাগণ মন্তব্য লিখে দিবেন, যা বাসায় অভিভাবকগণ খেয়াল করবেন, ইন-শা-আল্লাহ।
প্রতিদিন নার্সারির শিক্ষার্থীরা বাসা থেকে শুধুমাত্র হোমওয়ার্কের খাতা, পানির পট, টিফিন বক্স ও রঙ পেন্সিল ব্যাগে করে সাথে নিয়ে আসবে। পেন্সিল, শার্পনার ও ইরেজার স্কুল থেকেই দেওয়া হবে।
প্রতি সপ্তাহের শেষদিন সাধারণত পুরো সপ্তাহের বাড়ির কাজ একসাথে, আবার লিখে দেওয়া হয়। যাতে করে কোনো শিক্ষার্থী উক্ত সপ্তাহে অনুপস্থিত থাকলেও বাড়ির কাজ মিস না করে।
নার্সারির শিক্ষার্থীদের টিফিন ক্লাস শেষে টিফিন বক্সে দিয়ে দেওয়া হবে।
নার্সারির অনেক শিক্ষার্থীর জন্য আমাদের স্কুলে নার্সারিই হয়ত প্রথম স্কুল-অভিজ্ঞতা। বিগত বছরগুলোতে আমরা দেখেছি নার্সারির অনেক শিক্ষার্থীই প্রথম দিকে ক্লাসে বসতে চায় না, কান্নাকাটি করে অথবা বাবা/মায়ের কাছে যেতে চায়। আমরা আশা করছি এসময় সকল অভিভাবক ধৈর্য্যের পরিচয় দেবেন। শিক্ষার্থীকে বাসা থেকেই স্কুল সম্পর্কে বলে, উৎসাহ দিয়ে মানসিকভাবে প্রস্তুত করবেন। খুব জরুরী প্রয়োজন হলে নিচতলায় অবস্থানরত অভিভাবকদের ক্লাস রুমের বাইরে অবস্থান করার অনুমতি দেওয়া হয়। সন্তানের কান্নার শব্দ শুনে অনেক বাবা-মা বিচলিত হয়ে যান এবং ক্লাসরুমে অবস্থানের অনুমতি চান, যা বাচ্চাকে ক্লাসরুমের পরিবেশের সাথে খাপ খাইয়ে নিতে বাধার সৃষ্টি করে। এতে অন্যান্য শিক্ষার্থীরাও প্রভাবিত হয়।
তাই নার্সারির সকল অভিভাবকের প্রতি অনুরোধ, প্রথম দুই-তিন সপ্তাহ আপনারা অনুগ্রহ করে ধৈর্য্যসহ স্কুলের সকল দিকনির্দেশনা মেনে চলবেন, ইন-শা-আল্লাহ।
মা’আসসালামাহ
অধ্যক্ষ
এস সি ডি (মোহাম্মদপুর শাখা)