আসসালামু আলাইকুম,
সম্মানীত অভিভাবকবৃন্দ,
আপনারা সকলেই অবগত যে, ৬ষ্ঠ ও ৭ম শ্রেণির কারিকুলামে আমূল পরিবর্তন করা হয়েছে। বইয়ের কনটেন্ট থেকে শুরু করে পরীক্ষার পদ্ধতি, প্রতিটি ক্ষেত্রেই এই পরিবর্তন বিশেষভাবে লক্ষণীয়। এই পরিবর্তিত কারিকুলাম সঠিকভাবে বাস্তবায়ন করার জন্য আমাদের স্কুলের একটি টিম কাজ করছে, আলহামদুলিল্লাহ। সরকারি একটি ট্রেনিং-এ আমাদের স্কুল থেকে কয়েকজন শিক্ষককে ইতিমধ্যে মনোনীত করা হয়েছে। আমরা আশাবাদী যে, এই পরিবর্তীত কারিকুলামের সাথে আমাদের শিক্ষার্থীরা খুব শীঘ্রই অভ্যস্ত হবে।
এই কারিকুলামে মূলত প্র্যাকটিকাল কাজের মাধ্যমে শেখার বিষয়টিকে প্রাধান্য দেওয়া হয়েছে এবং এই পদ্ধতিতে কোনো সিটি, অর্ধ-বার্ষিক এবং বার্ষিক পরীক্ষা থাকছে না। এর পরিবর্তে “চলমান মূল্যায়ন” বা “কন্টিনিউয়াস এ্যাসেসমেন্ট” এবং ৬ মাস পরপর “ষান্মাসিক মূল্যায়নের” পদ্ধতি প্রচলন করা হয়েছে। এই “চলমান মূল্যায়ন” পদ্ধতিতে বাড়ির কাজ, ক্লাস ওয়ার্ক, ছোটখাট এ্যাসাইনমেন্ট, প্র্যাকটিকাল কাজ ইত্যাদি বিভিন্ন সময়ে ধারাহাবিকভাবে মূল্যায়ন করা হবে। এভাবে ধারাবাহিক মূল্যায়নের মাধ্যমে শিক্ষার্থীরা পুরো বছরজুরে পাঠ্যবইয়ের বিষয়গুলো রপ্ত করবে। এই পদ্ধতিতে বছরের মাঝামাঝি বা শেষে কোনো নাম্বার বা জিপিএ’র মাধ্যমে ফলাফল প্রকাশ থাকছে না।
এস.সি.ডি’তে আমরা এই পদ্ধতি অনুসরণ করে নভেম্বর মাসে ৬ষ্ঠ ও ৭ম শ্রেণির ষান্মাসিক মূল্যায়ন করবো ইন-শা-আল্লাহ। তবে তার পূর্বে শিক্ষার্থীকে অবশ্যই “চলমান মূল্যায়ন”গুলোতে অংশগ্রহণ করতে হবে। তাই শিক্ষার্থীদের প্রতিদিন স্কুলে উপস্থিত থাকা একান্ত প্রয়োজন।
তাই শিক্ষার্থীদের নিয়মিত স্কুলে উপস্থিত থাকার বিষয়টি নিশ্চিত করতে অভিভাবকদের বিশেষভাবে অনুরোধ করা যাচ্ছে।
অধ্যক্ষ
স্কুল ফর কমিউনিটি ডেভেলপমেন্ট
(মোহাম্মদপুর শাখা)