admin

আরবি: বাড়ির কাজ

আসসালামু আলাইকুম,

অভিভাবকগণ ১ম শ্রেণি থেকে ১০ম শ্রেণির আরবি ক্লাসের বাড়ির কাজ নির্ধারিত লিংক থেকে দেখে নিবেন।

মর্নিং শিফট (১ম-১০ম শ্রেণি) আরবি বাড়ির কাজ :

https://docs.google.com/document/d/1AKw8bM8an-HqKwgBGQ1BfYNDeLs415uDHoTFJZ6f2fA/edit?usp=sharing

ডে শিফট (১ম-৯ম শ্রেণি) আরবি বাড়ির কাজ :

https://docs.google.com/document/d/10i4NhxWNP9bvdgeR4YzQAcNN3cYrwxcdAgBsqY4YHpM/edit?usp=sharing

মাআসসালাম

আরবি: বাড়ির কাজ Read More »

কুরআন: বাড়ির কাজ

আসসালামু আলাইকুম,

অভিভাবকগণ ১ম শ্রেণি থেকে ৪র্থ শ্রেণির কুরআন ক্লাসের বাড়ির কাজ নির্ধারিত লিংক থেকে দেখে নিবেন।

মর্নিং শিফট (১ম-৪র্থ শ্রেণি) কুরআন বাড়ির কাজ :

https://docs.google.com/document/d/1MimHPjYVVrURUpIoM9VsGjKzV8233O3PxZPfamitA70/edit?usp=drivesdk

ডে শিফট (১ম-৪র্থ শ্রেণি) কুরআন বাড়ির কাজ :

https://docs.google.com/document/d/1lBQrGtrBRrpDrVlvz67ScREqTHbkv1_NtYc1MAO1qr4/edit?usp=drivesdk

মাআসসালাম

কুরআন: বাড়ির কাজ Read More »

হিফজ অন-ক্যাম্পাস ক্লাস (প্রতি শনিবার)

আসসালামুআলাইকুম,

আগামী ৬ ফেব্রুয়ারি থেকে প্রতি শনিবার এস.সি.ডি স্কুলের হিফজ বিভাগের শিক্ষার্থীরা সাপ্তাহিক পড়া শোনানোর জন্য স্কুলে ক্লাস করবে, ইন-শা-আল্লাহ। বাকি দিনগুলো (রবি-বৃহস্পতি) পূর্বের মত অনলাইনে ক্লাস হবে, ইন-শা-আল্লাহ।

বিশেষভাবে উল্লেখ্য, শিক্ষার্থীরা স্কুল প্রাঙ্গনে প্রবেশের পূর্বে অবশ্যই মাস্ক পরিধান করে আসবে। এছাড়া স্কুল প্রাঙ্গনে প্রবেশের পরেও পরিপূর্ণ স্বাস্থ্যবিধি মেনে অবস্থান করতে হবে।

কোনো অভিভাবক যদি স্বাস্থ্য ঝুকির কথা মাথায় রেখে শিক্ষার্থীদের স্কুল প্রাঙ্গনের পাঠাতে না চান, তবে তাদের পড়া অনলাইনেই শোনা হবে ইন-শা-আল্লাহ। যারা শনিবার বাসায় থেকে পড়া শোনাবেন, তারা নিচের গুগল ফর্মটি পূরণ করবেন।

https://forms.gle/CQF6axr9bva8C8Ve8

এই ফর্ম যারা পূরণ করবেন, শুধুমাত্র তাদেরকেই শনিবারে ফোন করা হবে। শনিবারের এই ক্লাসে অংশগ্রহনের ক্ষেত্রে যেকোনো একটি মাধ্যম বাছাই করতে হবে।

ক্লাস টাইম:
– মেয়ে শিক্ষার্থী (নাজেরা ও হিফজ): সকাল ৭:০০-১০:০০
– ছেলে শিক্ষার্থী (নাজেরা ও হিফজ): সকাল ১০:৩০-২:০০

এস.সি.ডি এডমিন।

বি.দ্র. প্রতি শনিবার স্কুল প্রাঙ্গনে হিফজ-এর ক্লাস আয়োজনে এস.সি.ডি স্কুল সর্বোচ্চ সতর্কতা অবলম্বন করার যথাসাধ্য চেষ্টা করবে। তথাপি কোনো শিক্ষার্থী করোনা ভাইরাসে আক্রান্ত হলে এর দায়দায়িত্ব স্কুল কর্তৃপক্ষ বহন করবে না।

হিফজ অন-ক্যাম্পাস ক্লাস (প্রতি শনিবার) Read More »

কায়দা, আম্মা পারা, কুরআন ক্লাস লিংক

আসসালামুআলাইকুম,

সম্মানীত অভিভাবকবৃন্দ। আপনারা নিশ্চই অবগত যে আমাদের স্কুলের শিক্ষার্থীরা স্কুলে কুরআন ক্লাসে কায়দা, আম্মা পারা ও কুরআন সহীহ-শুদ্ধভাবে তিলাওয়াত শিখে থাকে। কিন্তু পারদর্শিতার তারতম্যের কারনে আমরা ক্লাসগুলোকে ক্লাসের ভিত্তিতে ভাগ না করে শিক্ষার্থীদের যোগ্যতার উপর ভিত্তি করে নির্ধারন করি। তাই দেখা যায় হয়ত ৪র্থ শ্রেণিতে ভর্তি হওয়া একজন নতুন শিক্ষার্থী ১ম শ্রেণির শিক্ষার্থীদের সাথে কায়দা ক্লাস করছে। আবার ২য় শ্রেণির একজন শিক্ষার্থী যে আম্মা পাড়া পড়ার যোগ্যতা রাখে, সে ৪র্থ শ্রেণির একজন শিক্ষার্থীর সাথে আম্মা পারা পড়ছে।

অর্থাৎ, কুরআন ক্লাস আমরা স্কুলের অন্যান্য বিষয়ের মত শ্রেণির ভিত্তিতে ভাগ না করে যোগ্যতার বিচারে ভাগ করেছি।

নিচে শিফট অনুযায়ী কোন ওস্তাজ/ওস্তাজার কাছে কোন কোন শিক্ষার্থী ক্লাস করবে, ক্লাস লিঙ্ক ইত্যাদির একটি লিস্ট প্রদান করা হল।

https://docs.google.com/document/d/1Oqdj6ibVFcp_XPT9dxZqwqg1gvk-QGDbdfRR96B_VlU/edit?usp=sharing

বি.দ্র.: যারা ফুল-টাইম হিফজ করছে (নাজেরা বা হিফজ), তাদের জন্য এই কুরআন ক্লাস প্রযোজ্য নয়। শুধুমাত্র পার্ট-টাইম হিফজ-এর শিক্ষার্থীরা এই ক্লাস করবে ইন-শা-আল্লাহ।

কায়দা, আম্মা পারা, কুরআন ক্লাস লিংক Read More »

বাড়ির কাজ

বাড়ির কাজ Read More »

অভিভাবকদের জন্য কিছু জ্ঞাতব্য ও পরামর্শ

এই স্কুলটি, মুসলিম হিসেবে আমাদের ছেলেমেয়েদের গড়ে তোলার চেষ্টায়, “কমিউনিটি সার্ভিস” হিসেবে প্রতিষ্ঠিত সম্পূর্ণ অলাভজনক একটি প্রতিষ্ঠান। এখানে আপনার সন্তানকে কেন দিয়েছেন/দিচ্ছেন তা ভেবে দেখবেন। কেবল পার্থিব প্রাপ্তি নিয়ে ভাবিত হয়ে থাকলে আপনি, সম্ভবত, ভুল ঠিকানায় এসেছেন। আমরা অনুরোধ করবো:  

১) আপনার সন্তানের জন্য নিয়মিত আল্লাহর কাছে দোয়া করবেন, যেন সে ভালো মুসলিম হিসাবে বড় হয়। কখনো প্রকাশ্যেই তাদের সামনে, তাদের জন্য দোয়া করবেন। আমরা স্কুলে তাদের বিভিন্ন দোয়া শেখানোর চেষ্টা করি – আপনারাও ইনশা’আল্লাহ্ নিজেদের মত করে চেষ্টা করবেন, তাদের দৈনন্দিন জীবনের বিভিন্ন পরিস্থিতির উপযোগী দোয়া শিক্ষা দিতে। সন্তানদের আল্লাহর কাছে চাইতে শেখানো উচিত।

২) আমাদের সাথে আপনার সন্তান ১ কর্মদিবসে, বেশী হলে পাঁচ ঘন্টা সময় থাকে। বাকী সময়টুকু থাকে আপনাদের কাছে এবং আপনাদের পরিবেশ-প্রতিবেশে। সে হিসাবে, “একাডেমিক ক্যালেন্ডার” অনুযায়ী হিসাব করে দেখলে দেখা যাবে একবছরে (যেমন, ২০১৬ সালে) আপনার সন্তান আমাদের সাথে, স্কুলে, তার সময়ের সর্বোচ্চ ১০.৮৪% কাটিয়েছে/কাটাবে – বছরের বাকী ৮৯.১৬% সময় কাটিয়েছে/কাটাবে আপনার পরিবেশে ও প্রতিবেশে। তাই বাড়ীর পরিবেশ ও প্রতিবেশ বিশুদ্ধ ও সুন্দর না হলে, তাদের চারিত্রিক গঠন নিয়ন্ত্রণ করা পৃথিবীর কোন প্রতিষ্ঠানের পক্ষে সম্ভব নয়।

৩) ইসলামের দৃষ্টিকোণ থেকে, আমাদের সন্তানদের জীবনে তাদের শিক্ষক ও শিক্ষিকাদের অবস্থান কি হওয়া উচিত – তা আমরা নিজেরা যেমন শিখবো, তেমনি আমাদের সন্তানদেরও তা শেখাবো ইনশা’আল্লাহ্! আমরা মনে রাখবো যে, জীবনের একটা পর্যায়ে ছেলে-মেয়েদের কাছে শিক্ষক-শিক্ষিকারা আদর্শ ও অনুকরণীয় ব্যক্তিত্বে পরিণত হন। এই পর্যায়ে তাদের সামনে তাদের শিক্ষক-শিক্ষিকাদের গীবত, সমালোচনা অথবা তাদের নিয়ে কোন বিরূপ মন্তব্য আমাদের সন্তানদের উপর ক্ষতিকর প্রভাব ফেলতে পারে। আমরা সাহাবীদের, তাবেঈদের এবং ৪ ইমামের জীবনী পড়লে, ইসলামে শিক্ষকের মর্যাদা সম্বন্ধে পর্যাপ্ত ধারণা লাভ করতে পারবো ইনশা’আল্লাহ্!

৪) আপনার ছেলেমেয়েদেরকে স্মার্টফোন, ইন্টারনেট, টেলিভিশন থেকে দূরে রাখুন। তা না হলে তার চরিত্রশুদ্ধিতে কোন ইসলামী তালিমই কাজে আসবে না। আমরা শিশুদের অবোধ বা অবুঝ মনে করলেও, এ যুগের শিশুরা অত্যন্ত প্রখর বুদ্ধিসম্পন্ন, চতুর। আমরা জেনেছি: প্রথম শ্রেণীতে পড়া এমন ছেলে আছে, যাকে তার বাবা-মা ইন্টারনেট ব্রাউজ করতে দেন এবং আট বছর বয়স্ক এমন ছেলে আছে, যে তার বাবাকে না জানিয়ে ইউটিউব দেখতে বাবার স্মার্টফোনে “ইন্টারনেট ব্যালেন্স” ভরেছে বলে বাবা তার সেই ফোন পরিত্যাগ করেছেন। আপনারা যদি সচেতন না হোন তবে, আপনার সন্তান যে (খবরে প্রকাশিত) ঢাকার স্কুলগামী কিশোর-কিশোরীদের মাঝে পর্ণোগ্রফিতে আসক্ত ৭৭%-এর অন্তর্ভুক্ত হতে যাচ্ছে – তা একপ্রকার নিশ্চিত (নাউযুবিল্লাহ্!)।

৫) সাধারণ ভাবে আপনার সকল সন্তানকেই রাতে তাড়াতাড়ি ঘুমাতে যাবার অভ্যাস গড়ে তুলতে তাগিদ দেবেন। সেই সাথে, সকালে তারা যেন নাস্তার অন্তত এক ঘন্টা আগে ঘুম থেকে ওঠে এবং বিছানা ছাড়ে সে দিকে খেয়াল করবেন ইনশা’আল্লাহ্! ক্লাসে অমনোযোগী হবার দু’টো প্রধান কারণ হচ্ছে: রাতে দেরী করে ঘুমানো এবং সকালে “পরিপূর্ণ” নাস্তা না করে আসা। আর বিশেষত, আপনার সন্তান যদি বয়োঃসন্ধির কাছাকাছি বয়সের হয়, তবে খেয়াল রাখবেন, সে যেন রাতে বিছানায় শুয়ে জেগে না থাকে; প্রয়োজনে তাকে দিনে ঘুম থেকে বিরত রাখবেন এবং খেলাধূলাসহ শারীরিক পরিশ্রমের ব্যবস্থা করবেন যেন রাতে বিছানায় যাবার সাথে সাথে সে ঘুমিয়ে পড়ে।

৬) ছেলেমেয়েকে যত বেশী সম্ভব সময় দেবেন – তাদের বন্ধু হবার চেষ্টা করবেন। পৃথিবীর প্রতিকূল পরিবেশে কোন অসুন্দর বা অকল্যাণকর ইঙ্গিতের সম্মুখীন হলে, তারা যেন প্রাণ খুলে সবার আগে আপনাকেই সে কথা জানাতে পারে। ১-১২ বছর সময়টা আপনার সন্তানের চরিত্রের ভিত্তি গঠিত হবার সময় – এই সময়টা একবার পার হয়ে গেলে, আপনি তাকে আর শতচেষ্টাতেও হয়তো আপনার কাঙ্খিত নৈতিক ও আদর্শিক পথে পরিচালিত করতে পারবেন না। তখন তার জন্য আপনার সময় হলেও, আপনার কথা শোনার সময়, আগ্রহ বা ধৈর্য তার নাও থাকতে পারে।

৭) আপনার সন্তানের জন্য সুস্থ বিনোদনের ব্যবস্থা করবেন। আমরা বুঝি, এখনকার নাগরিক ঢাকায় যেখানে তিল ধারণের ঠাঁই নাই, সেখানে এককালের খেলার মাঠগুলো আজ “ইঁটের জঙ্গলে” পরিণত হয়েছে। তবু সময় ও সুযোগ বের করে অন্তত ছেলে সন্তানদের, সপ্তাহান্তে হলেও, বিরল খেলার মাঠগুলোতে বা খোলা জায়গায় নিয়ে যাবেন – কিছু খেলার সরঞ্জাম সাথে নিয়ে। গোটা পরিবার নিয়ে যত ঘন ঘন সম্ভব প্রকৃতির মাঝে, প্রকৃতির কাছে যাবেন ইনশা’আল্লাহ্। মনে রাখবেন: কাদা, মাটি, ঘাস, শিশির ইত্যাদির সংস্পর্শে আমাদের সুস্থতা ও পরিপূর্ণতা রয়েছে জেনেই আল্লাহ্ আমাদের জন্য এই দেশটা নির্ধারণ করেছেন।

৮) আপনার সন্তানদের মাঝে বই পড়ার অভ্যাস গড়ে তুলুন। নিজে দেখে ও বেছে বেছে তাদের জন্য বই কিনবেন। নবীদের জীবনী, সাহাবীদের জীবনী, ভ্রমণকাহিনী, এডভ্যাঞ্চার ইত্যাদি খুঁজে বের করে কিনবেন – প্রয়োজনে তাদের বই পড়ে শোনাবেন, ইনশা’আল্লাহ্!     

৯) চটুল/হালকা কথাবার্তা বলে থাকেন, এমন “বড়দের” কাছ থেকে সন্তানদের দূরে রাখবেন। অনেক সময়ই নানা/দাদা/নানী/দাদী/দূলাভাই/ভাবী ইত্যাদি সম্পর্কীয় আত্মীয়স্বজন আদি-রসাত্মক ঠাট্টা করে থাকেন। সচেতনভাবে আপনার সন্তানকে এসব থেকে বাঁচিয়ে রাখবেন ইনশা’আল্লাহ্। এছাড়া আপনার (স্কুলে পড়া বয়সের) সন্তান যেন বহিরাগতদের (বিশেষভাবে বিপরীত লিঙ্গের) কারো কোলে না বসে, সেদিকে খেয়াল রাখবেন! 

১০) আপনার সন্তান যত ছোটই হোক না কেন – আপনার সন্তানকে গৃহপরিচারিকা, ড্রাইভার বা দারোয়ান, এই শ্রেণীর সাহায্যকারীদের প্রযত্নে কিছুতেই একা বা নির্জনে রেখে যাবেন না। গৃহপরিচারিকাদের সাথে আপনার ছোট বাচ্চারা খেলাধূলা করতে পারে, তবে তা আপনাদের চোখের সামনে হতে হবে আড়ালে নয়।

১১) আপনার সন্তানকে আপনার একক পরিবারের বাইরের কারো সাথে কখনোই বিছানা শেয়ার করতে দেবেন না। ১০ বছর বয়স হলে কারো সাথেই বিছানা শেয়ার করা বৈধ নয় – তখন তার জন্য অবশ্যই আলাদা বিছানার ব্যবস্থা করবেন, ইনশা’আল্লাহ্।

১২) সন্তানরা যা চাইবে তাই দিতে হবে – এই পশ্চিমা trend থেকে বেঁচে থাকার চেষ্টা করবেন ইনশা’আল্লাহ্! বরং সামান্য “বাড়াবাড়ি আব্দারেই” তাদের “না” বলতে শিখুন। সব চাওয়া “চাহিবামাত্র” পেলে, তারা একিদকে যেমন অকৃতজ্ঞ (বা নাশোকর) ও স্বার্থপর হবার সম্ভাবনা থাকে, তেমনি অপরদিকে তাদের অসহিষ্ণু হয়ে বেড়ে ওঠাটাই স্বাভাবিক। 

১৩) অন্যদের সাথে যেকোন মূল্যে প্রতিযোগীতায় জিততেই হবে – এমন ধারণা দিয়ে তাদেরকে, মুসলিম “ভাই-বন্ধুর” বিরুদ্ধে হিংসা-ঘৃণা-বিদ্বেষ পোষণ করে জীবনের সিঁড়ি বেয়ে ওপরে উঠতে প্ররোচিত করবেন না। বরং, একজন মুসলিম আল্লাহর সন্তুষ্টির জন্য, সকল কাজ ভালো/সুন্দর করে করবে – এই বোধ দিয়ে তাদের বড় করবেন। মুসলিম হিসেবে একজন মানুষের সবচেয়ে উচ্চতর মর্যাদা হচ্ছে যখন সে “ইহসানের” উপর প্রতিষ্ঠিত হয়ে একজন “মুহসীনে” পরিণত হয়। ইহসানের একটা সংজ্ঞা হচ্ছে: Doing things beautifully for the sake of Allah!

মুহাম্মাদ এনামুল হক

কনভেনার, এস.সি.ডি; 

চেয়ারম্যান, আই.সি.ডি

অভিভাবকদের জন্য কিছু জ্ঞাতব্য ও পরামর্শ Read More »

অভিভাবক ও শিক্ষার্থীদের জন্য অনলাইন ক্লাসের নির্দেশনা (১ম-১০ম শ্রেণি)

অভিভাবক ও শিক্ষার্থীদের অনলাইন ক্লাসে অংশগ্রহণ সম্পর্কিত নিম্নোক্ত বিষয়গুলো বিশেষভাবে মনে রাখার অনুরোধ করা হচ্ছে।

১. নাম পরিবর্তন করে ক্লাসে প্রবেশ

প্রতিটি শিক্ষার্থীকে অবশ্যই শিক্ষার্থীর নাম ও শ্রেণি উল্লেখপূর্বক ক্লাসে অংশগ্রহণ করতে হবে। শিক্ষার্থীর নাম ও ক্লাসের নাম উল্লেখ না করলে কোনো শিক্ষার্থীকে অনলাইন ক্লাসে অংশগ্রহন করতে দেয়া হবে না।

অনেকেই হয়ত কীভাবে Zoom -এ নাম পরিবর্তন করবেন সে ব্যাপারে পরিস্কার ধারনা রাখেন না। তাদের সুবিধার্থে নিচে সচিত্র নাম পরিবর্তনের ধাপসমূহ দেখিয়ে দেয়া হলো:

Zoom -এ জয়েন করার পর নিচের স্ক্রিনটি দেখা যাবে, এখানে শিক্ষার্থীর নাম ও শ্রেণি উল্লেখ করতে হবে।

২. Waiting Room

শিক্ষার্থী ক্লাসের লিংকে প্রবেশ করার পর প্রথমে waiting room -এ থাকবে, শিক্ষক তাকে admit করলে এরপর সে ক্লাস করতে পারবে। শুধুমাত্র নিজের নাম দিয়ে ক্লাস করলে তাকে admit করা হবে, বাবা-মা অথবা ডিভাইসের নাম দেখা গেলে তাকে ক্লাসে admit করা হবে না।

হাত উত্তোলন করে প্রশ্ন জিজ্ঞাসা করা:

ক্লাস চলাকালীন শিক্ষার্থীরা প্রশ্ন করতে চাইলে Zoom এ্যাপ-এর Hand Raise অপশনটি ব্যবহার করতে হবে। শিক্ষার্থীরা স্ক্রিনের নিচে, ডানদিকের তিন ডট বিশিষ্ট মেনুতে গেলে অপশনটি দেখতে পাবে।

Hand raise করার পর ওস্তাজ/ওস্তাজারা শিক্ষার্থীর মাইক বা ভিডিও চালু করার অনুমতি দিবেন।

৩. ভিডিও অন করার ব্যাপারে নির্দেশনা

শিক্ষার্থীরা শিক্ষকের অনুমতি ছাড়া কোনোভাবেই ভিডিও অন করবে না। অভিভাবকদের এই ব্যাপারে সচেতন থাকতে অনুরোধ করা হচ্ছে। শুধুমাত্র শিক্ষকের নির্দেশে প্রয়োজনে ভিডিও অন করা যেতে পারে। 

৪. পুরুষ অভিভাবকের উপস্থিতি

কোনো উস্তাজা ক্লাস নেওয়ার সময় সেখানে পুরুষ অভিভাবক, বড় ভাই অথবা এরকম কারো উপস্থিতি যেন না থাকে তা নিশ্চিত করবেন। একান্তই সম্ভব না হলে শিক্ষার্থীকে হেডফোন ব্যবহার করে ক্লাস করতে দিবেন।

৫. শিক্ষক disconnected হলে করণীয়

নেটের সমস্যা অথবা অন্য কোনো কারণে কোনো উস্তাজ/উস্তাজা ক্লাস চলাকালীন disconnected হয়ে গেলে ধৈর্য সহকারে অন্তত পাঁচ মিনিট অপেক্ষা করতে হবে। এরপর অফিসে ফোন করে জানাতে হবে। (01700714116)

৬. ক্লাস চলাকালীন করণীয় 

ক্লাস চলাকালীন কিছু শিক্ষার্থীর আশেপাশে তাদের বাসার লোকজনের কথাবার্তা, শব্দ ইত্যাদি শোনা যায়। সর্বোচ্চ চেষ্টা করতে হবে যেন এভাবে ক্লাসের পড়াশোনায় ব্যাঘাত না ঘটে।

অনলাইন ক্লাসে অভিভাবকগণ কোনো ধরনের মন্তব্য বা শ্রেণিশিক্ষকের সাথে কথা বলা থেকে সম্পূর্ণ বিরত থাকবেন। বিশেষ প্রয়োজনে অফিসে সরাসরি ফোন করে কথা বলবেন।

৭. বাড়ির কাজ

শিক্ষার্থীদের নিয়মিত ক্লাসে উপস্থিত থাকতে নির্দেশ দেওয়া হচ্ছে। প্রতিটি ক্লাসে সক্রিয়ভাবে অংশগ্রহণ করতে হবে এবং নিয়মিত বাড়ির কাজ করতে হবে। বাড়ির কাজ সংশ্লিষ্ট শিক্ষকের নির্দেশনা অনুযায়ী জমা দিবেন।

যে কোনো প্রয়োজনে কল করুন: ০১৭০০৭১৪১১৬, ০১৭০৫৬৭৯৬০৩

এসসিডি এডমিন

অভিভাবক ও শিক্ষার্থীদের জন্য অনলাইন ক্লাসের নির্দেশনা (১ম-১০ম শ্রেণি) Read More »

অনলাইন ক্লাস – ২০২১

অনলাইন ক্লাস – ২০২১ Read More »

নার্সারি ও কেজির অভিভাবকদের জন্য অনলাইন ক্লাসের নির্দেশনা-২০২১

শিক্ষার্থীদের অনলাইন ক্লাসে অংশগ্রহণের জন্য প্রত্যেক অভিভাবককে নিম্নলিখিত নীতিমালা মেনে চলতে হবে:

  • শিশুদের জন্য যে কোনো ধরনের handheld ডিভাইসের স্ক্রিন দেখা তাদের শারীরিক ও মানসিক বিকাশের জন্য অত্যন্ত ক্ষতিকর। আপনারা সর্বোচ্চ চেষ্টা করবেন যেন তারা কম্পিউটার বা ল্যাপটপ ব্যবহার করে ক্লাস করতে পারে৷ অন্যথায় বাধ্য হয়ে যদি ক্লাসের জন্য মোবাইল দিতেই হয়, তাহলে তা তাদের হাতে না দিয়ে সামনে রেখে ক্লাস করাবেন।
  • ক্লাস চলাকালীন পুরো সময় শিক্ষার্থীর মা অথবা কোনো মহিলা অভিভাবক সাথে উপস্থিত থাকবেন। কোনো অবস্থাতেই শিশুকে ডিভাইস দিয়ে একা ছেড়ে দিবেন না।
  • ক্লাস শুরু করার পূর্বে অবশ্যই মোবাইল বা ল্যাপটপে পর্যাপ্ত চার্জ আছে কিনা তা নিশ্চিত করবেন।
  • শিক্ষার্থী যেন একটি নির্দিষ্ট জায়গায় অথবা পড়ার টেবিলে বসে ক্লাস করে। ক্লাস শুরুর আগে সংশ্লিষ্ট পাঠ্যবই, খাতা, লেখার উপকরণ ইত্যাদি সব যেন হাতের কাছে প্রস্তুত থাকে। 
  • ক্লাস চলাকালীন আশেপাশে ছোট ভাই-বোন অথবা অন্য কোনোকিছু যেন ক্লাসের প্রতি মনোযোগ নষ্ট না করে তা খেয়াল রাখবেন।
  • শিক্ষার্থীদের নিয়মিত ক্লাসে উপস্থিত থাকতে হবে, প্রতিটি ক্লাসে সক্রিয়ভাবে অংশগ্রহণ করতে হবে এবং নিয়মিত বাড়ির কাজ করতে হবে।
  • শিক্ষার্থী যদি মোবাইলে ক্লাস করে, তবে ক্লাস চলাকালীন ফোন আসলে তা receive করা যাবে না। চেষ্টা করবেন মোবাইল সেট-এ যেন নিয়মিত ব্যবহার হয় এমন সিমকার্ড না থাকে। অথবা বাসায় WiFi থাকলে সিমকার্ড disable করে শুধুমাত্র WiFi কানেকশান সচল রাখতে হবে, যেন ক্লাস চলাকালীন ফোন আসলে শিক্ষার্থীর ক্লাসে কোনো ব্যাঘাত না ঘটে।
  • উস্তাদারা ক্লাস নেওয়ার সময় শিক্ষার্থীর আশেপাশে কোনো পুরুষ ব্যক্তি যেন উপস্থিত না থাকে তা নিশ্চিত করতে হবে।
  • ক্লাসের আদব বজায় রাখতে হবে। ক্লাস চলাকালীন শিক্ষকের অনুমতি ব্যতীত শিক্ষার্থীরা নিজেরা যেন পরস্পর কথা না বলে, ডিভাইসে ক্লাস করা ছাড়া অন্য কিছু যেন না করে তা নিশ্চিত করবেন।
  • শিক্ষার্থী টয়লেটে গেলে বা অন্য কোনো কারণে ক্লাস ছেড়ে উঠতে হলে অবশ্যই শিক্ষকের অনুমতি নিতে হবে। 
  • ক্লাস চলাকালীন অভিভাবকগণ কোনো ধরনের মন্তব্য অথবা শিক্ষকের সাথে সরাসরি কথা বলা থেকে বিরত থাকবেন। ক্লাস সংক্রান্ত বিষয়; যেমন ক্লাসে কী পড়ানো উচিত, কীভাবে ক্লাস নেয়া উচিত, অন্য শিফট-এর সাথে পড়ার গতি নিয়ে তুলনা ইত্যাদি বিষয় শিক্ষকের সাথে আলোচনা করা থেকে সম্পূর্ণ বিরত থাকতে হবে। 
  • একটি ক্লাসের সময়সীমা ৪০ মিনিট। যেহেতু আমাদের উস্তাদ/উস্তাদাগণ Zoom এ্যাপের basic version ব্যবহার করে ক্লাস নিবেন, ৪০ মিনিট হয়ে গেলে সাথে সাথে ক্লাস শেষ হয়ে যাবে। কেজির অভিভাবকেরা একই লিংক ব্যাবহার করে পুনরায় পরবর্তী ক্লাসে প্রবেশ করবেন। প্রতি দুই ক্লাসের মাঝে ৫ মিনিট বিরতি থাকবে।
  • নেটের সমস্যা অথবা অন্য কোনো কারণে কোনো উস্তাদ/উস্তাদা ক্লাস চলাকালীন disconnected হয়ে গেলে ধৈর্য সহকারে অপেক্ষা করতে হবে।
  • অভিভাবকগণ নিজেরা কোনো হোয়াটসএ্যাপ গ্রুপ খুলে সেখানে কোনো উস্তাদ/উস্তাদাকে এ্যাড করবেন না।
  • অনলাইন ক্লাসে জয়েন করতে সমস্যা হলে অথবা জরুরী কোনো বিষয়ে আলোচনা বা মন্তব্য জানাতে চাইলে সরাসরি প্রিন্সিপাল উস্তাজ-এর সাথে কথা বলা যাবে ০১৭০০৭১৪১১৬ এই নাম্বার-এ।

বাড়ির কাজ সংক্রান্ত নির্দেশনা

  • প্রত্যেক বিষয়ের ক্লাসের জন্য শিক্ষার্থীর দুইটি করে খাতা থাকবে। শ্রেণির কাজ ও বাড়ির কাজ প্রথমে একটি খাতায় করবে। দুই সপ্তাহ পর সেই খাতা মূল্যায়নের জন্য স্কুলে এসে জমা দিতে হবে। এরপর দ্বিতীয় খাতাটিতে পরবর্তী CW ও HW করে সেটি দুই সপ্তাহ পর জমা দিয়ে প্রথম খাতাটি ফেরত নিতে হবে। অনলাইন ক্লাস যতদিন চলবে, এভাবে খাতা বদল করে লেখার কাজ করতে হবে।

Zoom ব্যবহার করে অনলাইন ক্লাসের নির্দেশনা

অনলাইন ক্লাসসমূহ Zoom-এর মাধ্যমে নেয়া হবে ইনশাআল্লাহ। তাই মোবাইলে Zoom App ইন্সটলড থাকা প্রয়োজন। কম্পিউটারে এটি ব্রাউজারের মাধ্যমেও ব্যবহার করা যায়।

মোবাইলে ইন্সটল করার লিংক : https://play.google.com/store/apps/details?id=us.zoom.videomeetings

Zoom-এর মাধ্যমে ক্লাসে জয়েন করার সময় অবশ্যই শিক্ষার্থীর সম্পূর্ণ নাম উল্লেখ করতে হবে। জুম এ্যাকাউন্ট যদি অভিভাবকের নামে খোলা থাকে, তবে rename করে নিতে হবে।

 Zoom-এর মাধ্যমে ক্লাসে অংশগ্রহণ করতে

নার্সারির শিক্ষার্থীদের জন্য

Class Link : https://us05web.zoom.us/j/86375480477?pwd=UXZNV1d0WlF1S3d3eTVBYUJ6bm4xQT09

Meeting ID: 863 7548 0477

Passcode: 112021

কেজির শিক্ষার্থীদের জন্য

https://us05web.zoom.us/j/86162514714?pwd=UE56QVFUK0dEMmV5Z082YUF5d1BZUT09

Meeting ID: 861 6251 4714

Passcode:  192021

ক্লাসের নির্ধারিত সময়ে (রুটিন অনুযায়ী) অভিভাবকগণ নির্ধারিত লিংক-এ ক্লিক করবেন। এরপর মোবাইলে নিচের স্ক্রিনটি দেখা যাবে:

উপরের এই স্ক্রিন থেকে Zoom আইকনে ক্লিক করতে হবে (নিচে “Remember my choice” অপশনটি সিলেক্ট করে তারপর Zoom আইকনে ক্লিক করলে পরবর্তীতে আর এই স্ক্রিন না এসে সরাসরি zoom থেকে ওপেন হবে।)

এরপর নিচের স্ক্রিনে শিক্ষার্থীর পুরো নাম উল্লেখ করতে হবে।

নাম উল্লেখ করে OK দিলে শিক্ষার্থী প্রথমে ক্লাসের waiting room -এ প্রবেশ করবে। শিক্ষক তাকে ক্লাসে admit করলে এরপর নিচের স্ক্রিন ওপেন হবে।

উপরের ছবিতে নির্দেশিত স্ক্রিনে “Call Over Internet” লেখাটির উপর ক্লিক করতে হবে, অন্যথায় শিক্ষার্থী শিক্ষকের কোনো কথা শুনতে পারবে না।

ক্লাসরুমে জয়েন করার পর সংশ্লিষ্ট শিক্ষক ক্লাস শুরু করলে তার  কথা বা ভিডিও শিক্ষার্থী স্ক্রিনে দেখতে পারবে।

ক্লাস চলাকালীন শিক্ষার্থী শিক্ষকের সাথে কথা বলতে চাইলে বা কোনো প্রশ্নের উত্তর দিতে হলে

মাইক অন করতে হবে। এজন্য তাকে “Unmute” বাটনে চাপ দিতে হবে। একইভাবে ওস্তাজ/ওস্তাজা যদি শিক্ষার্থির ভিডিও অন করতে বলেন, তবে Start Video” বাটনে চাপ দিতে হবে।ভিডিও অন করার সময় অবশ্যই মনে রাখতে হবে যে:

পুরুষ শিক্ষকের ক্লাসে ভিডিও অন করলে মহিলা অভিভাবককে যেন ক্যামেরার সামনে কোনোক্রমেই না দেখা যায়। 

কেজির শিক্ষার্থী এভাবে একটি ক্লাস শেষ হওয়ার পর একইভাবে পরবর্তী ক্লাসে জয়েন করবে। মনে রাখতে হবে, প্রতিবার জয়েন করার সময় একই ক্লাস লিংকে জয়েন করতে হবে এবং নিজের পুরো নাম উল্লেখ করতে হবে।

যে কোনো প্রয়োজনে কল করুন: ০১৭০০৭১৪১১৬, ০১৭০৫৬৭৯৬০৩

  • এসসিডি এডমিন

নার্সারি ও কেজির অভিভাবকদের জন্য অনলাইন ক্লাসের নির্দেশনা-২০২১ Read More »