২০২৪ শিক্ষাবর্ষ সংক্রান্ত দিক নির্দেশনা (নার্সারি – ১০ম শ্রেণি)

স্কুল ফর কমিউনিটি ডেভেলপমেন্ট

মোহাম্মদপুর শাখা

اَلسَّلَامُ عَلَيْكُمْ وَرَحْمَةُ ٱللَّهِ وَبَرَكاتُهُ

ﺇِﻥَّ ﺍﻟْﺤَﻤْﺪَ ﻟِﻠﻪِ ﻧَﺤْﻤَﺪُﻩُ ﻭَﻧَﺴْﺘَﻌِﻴْﻨُﻪُ ﻭَﻧَﺴْﺘَﻐْﻔِﺮُﻩْ ﻭَﻧَﻌُﻮﺫُ ﺑِﺎﻟﻠﻪِ ﻣِﻦْ ﺷُﺮُﻭْﺭِ ﺃَﻧْﻔُﺴِﻨَﺎ ﻭَﻣِﻦْ ﺳَﻴِّﺌَﺎﺕِ ﺃَﻋْﻤَﺎﻟِﻨَﺎ، ﻣَﻦْ ﻳَﻬْﺪِﻩِ ﺍﻟﻠﻪُ ﻓَﻼَ ﻣُﻀِﻞَّ ﻟَﻪُ ﻭَﻣَﻦْ ﻳُﻀْﻠِﻞْ ﻓَﻼَ ﻫَﺎﺩِﻱَ ﻟَﻪُ. ﺃَﺷْﻬَﺪُ ﺃَﻥَّ ﻻَ ﺇِﻟَﻪَ ﺇِﻻَّ ﺍﻟﻠﻪ ﻭَﺃَﺷْﻬَﺪُ ﺃَﻥَّ ﻣُﺤَﻤَّﺪًﺍ ﻋَﺒْﺪُﻩُ ﻭَﺭَﺳُﻮْﻟُﻪُ

সবাইকে এস.সি.ডি মোহাম্মাদপুর শাখায় স্বাগতম। ২০২৪ শিক্ষাবর্ষে আগামী ১৬ জানুয়ারি ২০২৪ (মঙ্গলবার) থেকে ক্লাস শুরু হতে যাচ্ছে ইনশাআল্লাহ। ক্লাস রুটিন দেখতে নিচের লিংক-এ ক্লিক করুন:


ক্লাস শুরুর সময়

১৬ জানুয়ারি ২০২৪ (মঙ্গলবার) থেকে মর্নিং শিফট-এর ক্লাস (১ম – ৯ম শ্রেণি পর্যন্ত) সকাল ৭:২০-এ শুরু হবে। ফেব্রুয়ারি মাসের মাঝামাঝি থেকে এই সময় পরিবর্তন হয়ে সকাল ৭:১০-এ শুরু হবে ইন-শা-আল্লাহ।

১৬ জানুয়ারি ২০২৪ থেকে ডে শিফট-এর ক্লাস দুপুর ১২:৪০ থেকে শুরু হবে। ১ম-১০ম শ্রেণি পর্যন্ত ডে-শিফট-এর সকল শিক্ষার্থী দুপুর ১২:২৫-এ স্কুলে এসে প্রথমে যোহর সলাত আদায় করবে। এরপর ১২:৪০ থেকে ক্লাসে অংশগ্রহণ করবে, ইন-শা-আল্লাহ।

নার্সারি, কেজি শ্রেণির ক্লাস শুরুর সময় পুরো বছরই অপরিবর্তিত থাকবে।

সূর্যোদয় এবং সূর্যাস্তের সময় তারতম্যভেদে ক্লাস শুরু ও শেষ হওয়ার সময় ভবিষ্যতে কিছুটা পরিবর্তিত হবে, যা যথাসময়ে অভিভাবকদের জানিয়ে দেওয়া হবে, ইন-শা-আল্লাহ।

ভবন-২ (শুধুমাত্র কেজি শ্রেণির জন্য)

২০২৪ সালে স্কুলের বর্ধিত একাডেমিক কার্যক্রম পরিচালনা করার জন্য মূল ভবন থেকে ৩টি প্লট পশ্চিমে একটি ভবনের নিচতলা ভাড়া নেওয়া হয়েছে। ভবন-২-এর ঠিকানা: নিয়ামাহ প্যালেস, বাড়ি-৫৪/৬, রোড-১২, শেখেরটেক, মোহাম্মদপুর, ঢাকা-১২০৭)।

উল্লেখ্য, যে ভবন-২-এর নিচতলায় কেজি শ্রেণির সকল সেকশন ও শিফট-এর ক্লাস অনুষ্ঠিত হবে, ইন-শা-আল্লাহ। ভবন-২ শুধুমাত্র একাডেমিক কার্যক্রম পরিচালনার জন্য ব্যবহৃত হবে। অফিসিয়াল প্রয়োজনে কেজি শ্রেণির অভিভাবকবৃন্দ মূল ভবনের ২য় তলায় যোগাযোগ করবেন, ইন-শা-আল্লাহ। তাই কেজি শ্রেণির অভিভাবকবৃন্দ শিক্ষার্থীদের যথাসময়ে ভবন-২-এর মেইন গেইটে পৌছে দিবেন এবং ছুটির সময় নিয়ে যাবেন, ইন-শা-আল্লাহ।

অভিভাবকদের বসার স্থান ও স্কুল অফিসে যোগাযোগ:

মূল ভবনের নিচতলায় যেহেতু ছেলেদের যোহরের সলাত আদায় করতে হয়, তাই ২০২৪ শিক্ষাবর্ষে মূল ভবনের নিচতলার প্রায় পুরোটা জুড়েই যোহর সলাত আদায় করার ব্যবস্থা করা হচ্ছে। ফলে মূল ভবনের নিচ তলায় (এবং ভবন ২-এর নিচতলায়) আমরা অভিভাবকদের বসার কোনো জায়গা রাখতে পারছি না বলে আন্তরিকভাবে দুঃখ প্রকাশ করছি। তবে শিক্ষার্থীদের গ্রহণ করার জন্য মূল ভবনের নিচ তলার দক্ষিণ-পূর্ব কর্নারে একটি ওয়েটিং এরিয়া থাকবে। যেখানে সাময়িক সময়ের জন্য অবস্থান করে মহিলা অভিভাবকবৃন্দ শিক্ষার্থীদের গ্রহণ করতে পারবেন।

এছাড়া অভিভাবকবৃন্দ ক্লাসরুম প্রবেশ বা সিড়ি ঘরে অবস্থান করা থেকেও বিরত থাকবেন। তবে প্রয়োজন হলে (বিশেষ করে নার্সারি শ্রেণি) আমরা অভিভাবকদের সাথে যোগাযোগ করে বিশেষ বিবেচনায় ক্লাস রুমের বাইরে অবস্থান করার  সাময়িক অনুমতি প্রদান করবো, ইন-শা-আল্লাহ।

পুরুষ ও মহিলা অভিভাবকবৃন্দ এবং ছেলে ও মেয়ে শিক্ষার্থীরা নিজেদের মধ্যে পর্দার বিধান সম্পর্কে সতর্ক থাকবেন ইন-শা-আল্লাহ।

শিক্ষার্থীদের আই.ডি কার্ড পরিধান ও অভিভাবকদের আই.ডি কার্ডের ‘অভিভাবক কপি’ প্রদর্শন করে শিক্ষার্থীদের স্কুল থেকে নিয়ে যাওয়া

স্কুলের প্রত্যেক শিক্ষার্থীকেই স্কুল থেকে ২টি আই.ডি কার্ড প্রদান করা হয়। একটি প্লাস্টিক আই.ডি. কার্ড (যা শিক্ষার্থী পরিধান করবে) এবং আরেকটি ল্যামিনেটেড আই.ডি. কার্ড (যা প্রত্যেক অভিভাবক শিক্ষার্থীদের স্কুল থেকে নিয়ে যাওয়ার সময় গেটে প্রদর্শন করবে)।

৩য় থেকে ৮ম শ্রেণির কোনো অভিভাবক যদি শিক্ষার্থীদের কাছে ২টি আই.ডি কার্ডই দিয়ে রাখেন, তাহলে স্কুল কর্তৃপক্ষ ধরে নিবে যে সেই শিক্ষার্থী একাই স্কুল থেকে বাসায় যাবে

নার্সারি থেকে ২য় শ্রেণি পর্যন্ত কোনো শিক্ষার্থীকে অভিভাবক ছাড়া একা যেতে দেওয়া হবে না।

কারও আই.ডি কার্ড হারিয়ে গেলে স্কুলের নির্ধারিত ফি প্রদান করে আই.ডি কার্ড সংগ্রহ করবেন। বা বিশেষ প্রয়োজনে স্কুল কর্তৃপক্ষ তাৎক্ষণিক লেমিনেটেড আই.ডি. কার্ড প্রদান করবে, ইন-শা-আল্লাহ।

আই.ডি. কার্ড পরিধান ও আই.ডি. কার্ডের অভিভাবক কপি প্রদর্শন করে শিক্ষার্থীদের স্কুল থেকে নেওয়ার বিষয়ে স্কুল কর্তৃপক্ষ কঠোর নীতি অবলম্বন করে। তাই অভিভাবকগণ নিয়মের ব্যত্যয় ঘটাতে অনুরোধ করে স্কুল কর্তৃপক্ষকে বিব্রত করবেন না, ইন-শা-আল্লাহ।

টিফিন এবং পানি পান ও টয়লেট ব্যবহার সংক্রান্ত নির্দেশনা

প্রতি রবিবার থেকে বৃহস্পতিবার স্কুল থেকে টিফিন প্রদান করা হবে। শিক্ষার্থীরা বাসা থেকে বা বাইরে থেকে কোনো ধরনের খাবার স্কুলে আনবে না। নার্সারি থেকে ২য় শ্রেণির সকল শিক্ষার্থী অবশ্যই সাথে করে (স্কুল নির্ধারিত) টিফিন বক্স নিয়ে আসবে। নার্সারি থেকে ২য় শ্রেণির সকল শিক্ষার্থীকে যার যার টিফিনবক্সে টিফিন দেওয়া হবে।

স্কুলের প্রতিটি তলাতেই ‘রিভার্স অসমোসিস সিস্টেম’-এর খাবার পানির ফিল্টার রয়েছে। শিক্ষার্থীরা যার যার ব্যক্তিগত পানির বোতল (স্কুল নির্ধারিত) নিয়ে আসবে এবং প্রয়োজন অনুযায়ী পানি ভরে নিবে। একজনের পানির বোতল আরেকজন ব্যবহার করবে না।

টয়লেট ব্যবহার করার পর শিক্ষার্থীরা ব্যক্তিগত এবং টয়লেট-এর পরিস্কার/পরিচ্ছন্নতার বিষয়ে সতর্ক থাকতে হবে। যেন পরবর্তী ব্যবহারকারি টয়লেটে প্রবেশের পর একটি পরিচ্ছন্ন টয়লেট পায়। এ বিষয়ে অভিভাবকবৃন্দ সন্তানদের অবগত করবেন।

পোশাক ও সময়ানুবর্তিতা

প্রাথমিক অবস্থায় অনেক শিক্ষার্থীর পক্ষে হয়ত পরিপূর্ণভাবে স্কুল ইউনিফর্ম পরে আসা সম্ভব হবে না। তবে ১ ফেব্রুয়ারি ২০২৪ থেকে প্রত্যেক শিক্ষার্থীকে অবশ্যই পরিপূর্ণভাবে ইউনিফর্ম পরে আসা নিশ্চিত করতে হবে। ১ ফেব্রুয়ারি ২০২৪ থেকে কোনো শিক্ষার্থী পরিপূর্ণ ইউনিফর্ম ছাড়া স্কুলে প্রবেশ করার অনুমতি পাবে না। শিক্ষার্থীরা ১ ফেব্রুয়ারি ২০২৪-এর পূর্ব পর্যন্ত স্কুলের নির্ধারিত ইউনিফর্ম-এর কাছাকাছি ধরন এবং রং-এর পোষাক পরিধান করে আসবে।

১ ফেব্রুয়ারি ২০২৪ থেকে কোনো শিক্ষার্থী ক্লাস শুরু হওয়ার নির্ধারিত সময়ের পরে স্কুলে প্রবেশ করতে পারবে না। এমনকি, ১ মিনিট লেট হলেও মেইন গেইট বন্ধ করে দেওয়া হবে এবং যারা লেট করে স্কুলে উপস্থিত হবে তাদের ফিরে যেতে হবে। এক্ষেত্রে স্কুল অফিসে ফোন করা বা প্রিন্সিপাল উস্তাজকে ফোন করে কোনো ধরনের অনুরোধ করা থেকে সম্পূর্ণ বিরত থাকতে হবে। তবে, কোনো প্রাকৃতিক বা মানবসৃষ্ট দূর্যোগ-এর কারণে, বিশেষ পরিস্থিতিতে এ বিষয়ে ছাড় দেওয়া হতে পারে। তবে সেটা সম্পূর্ণভাবে স্কুলের সিদ্ধান্তের উপর নির্ভরশীল হবে। অভিভাবকদের অনুরোধের ভিত্তিতে নয়।

স্কুলের নির্ধারিত ইউনফর্ম ও সঠিক সময়ে স্কুলে প্রবেশের বিষয়ে স্কুল কর্তৃপক্ষ “জিরো টলারেন্স” নীতি অনুসরণ করে। তাই দেরী করে উপস্থিত হওয়া শিক্ষার্থী ও অভিভাবকবৃন্দ এই বিষয়ে ধৈর্যের পরিচয় দিবেন এবং দয়া করে স্কুলের গার্ড বা স্টাফদের সাথে উচ্চবাচ্য বা অসন্তোষ প্রকাশ করবেন না।


আপনার/আমার সন্তানদের সত্যিকার মুসলিম হিসেবে গড়ে তোলার প্রচেষ্টায় সকলের আন্তরিক সহযোগিতা একান্ত কাম্য। এস সি ডি’তে অনুসরণকৃত প্রতিটি নিয়মের পেছনেই মুসলিম চরিত্র গঠনে সুদূরপ্রসারী প্রভাব রয়েছে। তাই নিয়মের কঠোরতার বিষয়গুলো কেউ ব্যাক্তিগতভাবে নিবেন না এবং প্রতিটি নিয়ম অনুসরণে সকলেই সহযোগিতামূলক মনোভাব রাখবেন বলে আমরা আশা করি।

মা’আসসালামাহ

অধ্যক্ষ

এস.সি.ডি (মোহাম্মদপুর শাখা)