হিফয সংক্রান্ত গুরুত্বপূর্ণ নাসীহা


এস.সি.ডি (মোহাম্মদপুর শাখায়) নিউ হিফয বিভাগের হিফয পরীক্ষা সম্পন্ন হয়েছে, এবং রেগুলার হিফযের পরীক্ষাও খুব শীঘ্রই অনুষ্ঠিত হবে, ইন-শা-আল্লাহ। আগামী বছর থেকে ইনশাআল্লাহ হিফযের জন্য একটি নির্ধারিত কাঠামো প্রয়োগ করা হবে। এই কাঠামোটি ৭ বছরের একটি সুনির্দিষ্ট পরিকল্পনায় সাজানো। প্রথম বর্ষে ২ পারা, দ্বিতীয় বর্ষে ৩ পারা, এবং পরবর্তী বর্ষগুলোতে ৫ পারা করে হিফয সম্পন্ন করতে হবে। যদি কোনো শিক্ষার্থী নির্দিষ্ট বছরের টার্গেট পূরণ করতে ব্যর্থ হয়, তবে তাকে হিফয থেকে অব্যাহতি দেওয়া হবে। তবে, এ অব্যাহতি কোনো শাস্তি নয়, বরং বাচ্চাটির প্রতি একটি মেহেরবানি। কারণ আল্লাহ তা’আলা হিফয করাকে ফরয করেননি, এবং আমাদের উচিৎ নয় আমাদের স্বপ্নের চাপ শিশুদের উপর আরোপ করা। এতে তাদের মনে কুরআনের প্রতি বিরূপ ধারণা সৃষ্টি হতে পারে।

হিফয থেকে অব্যাহতি পাওয়া শিক্ষার্থীরা কুরআন থেকে বিচ্ছিন্ন থাকবে না; তাদের জন্য স্কুল জীবনের বাকি সময়ে নিয়মিত কুরআন পড়া ও মুখস্তকৃত অংশ পুনরাবৃত্তির জন্য একটি সাধারণ কুরআন ক্লাস থাকবে ইনশাআল্লাহ। এখানে একটি গুরুত্বপূর্ণ বিষয় উল্লেখ করা প্রয়োজন, বিশেষ করে যারা এই বর্ষে উত্তীর্ণ হয়েছে তাদের মধ্যে এমন শিক্ষার্থী থাকতে পারে যারা শুধুমাত্র পিতা-মাতার স্বপ্নপূরণের ভয়ে হিফয করছে, নিজের কোনো আগ্রহ ছাড়াই। এ ক্ষেত্রে অভিভাবকদের উচিত সন্তানদের সাথে খোলামেলা আলোচনা করা এবং তাদের প্রকৃত ইচ্ছা ও আগ্রহ বুঝে নেওয়া। পিতা-মাতা যদি সন্তানকে বুঝিয়ে দেন যে, খুব বেশি চাপ অনুভূত হলে হিফয বাধ্যতামূলক নয় এবং যে পরিমাণ মুখস্থ করেছে সেটুকু রিভিশনের পাশাপাশি নিয়মিত কুরআন তিলাওয়াত করলেও তা অত্যন্ত প্রশংসনীয় একটি কাজ – তাহলে সন্তান ইসলামকে সহজভাবে গ্রহণ করবে এবং তাদের কুরআনের প্রতি ভালোবাসা জন্মাবে, ইন-শা-আল্লাহ।

অতএব, অভিভাবকদের প্রতি আমাদের বিনীত অনুরোধ, সন্তানদের সাথে এ বিষয়ে আলাপ করে প্রয়োজন মনে করলে অফিসকে অবহিত করুন। অফিসে অবহিত করলে আমরা পরবর্তী শিক্ষাবর্ষে তাকে সাধারণ কুরআন ক্লাসে স্থানান্তর করব ইনশাআল্লাহ।

-মুহাম্মাদ নাসীল শাহরুখ